দালালদেরকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং কমিশন লাভের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরের সাথে জড়িত দালাল চক্রের সক্রিয় ৫৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব দালালকে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢামেক হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক অসাধু চক্র। এ চক্রের সদস্যদের প্রথম লক্ষ্য থাকে গ্রাম ও মফস্বল শহর থেকে আসা নতুন রোগী এবং রোগীদের আত্মীয়-স্বজন। দালাল চক্রের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তি, সিট বরাদ্দ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ, ট্রলি সেবা, হুইল চেয়ার সেবাসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায়, কমিশন লাভের জন্য রোগীদেরকে ভুল বুঝিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সঠিক রিপোর্টের কথা বলে বিভিন্ন ডায়াগোনস্টিক সেন্টারে নিয়ে অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, হুইল চেয়ার ও ট্রলি কেন্দ্রিক দালাল চক্রটি হাসপাতালের নিয়মের বাইরে মুমূর্ষু রোগীদেরকে সেবা দেওয়ার নামে রোগীর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক বেশি টাকা দাবি করতো। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত মুমূর্ষু রোগী এবং রোগীর আত্মীয়-স্বজনকে তারা জিম্মি করে রাখতো। এছাড়াও দালাল চক্রটি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনের সিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় রোগী ও রোগীর আত্মাীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। এসকল দালালেরা হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ওটি, ওয়ার্ড এবং কেবিনের আশে পাশে সর্বত্র প্রকাশ্যে বিচরণ করতো।