ইরানের রাষ্ট্রয়ত্ত টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ওই গুপ্তচর গত বছর ইস্ফাহানে “প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সের একটি ওয়ার্কশপে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।”
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একটি পাশ্ববর্তী দেশ থেকে ধরে আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান। তবে তিনি কোন দেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাকে কিভাবে ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ইস্ফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অবকাঠামোতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তবে ওই হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল ইরান এবং এরজন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে ওই সময় পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ওই ড্রোন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ইসরায়েল।
তবে এই ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কবে কার্যকর করা হয়েছে এবং তার পরিচয় কি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি।
ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, এই হামলা পরিকল্পনার প্রধান ক্রীড়ানককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে হামলায় কেউ হতাহত হননি এবং ক্ষয়ক্ষতি খুব সামান্য হয়েছিল বলেও দাবি করেছিল ইরান।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের বেশ পুরোনো শত্রুতা রয়েছে। এমনকি ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটিতে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবেও আর স্বীকৃতি দেন না। ইসরায়েলকে ইসরায়েল হিসেবে অভিহিত করার বদলে ‘ইহুদিবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেন তারা।
অপরদিকে ইসরায়েল ইরানকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে। আর এ কারণে প্রায়ই ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তারা।