পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। সোমবার (১০ মে) বিকেলে বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত শুক্রবার (৭ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছিল, শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।
এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-পথে ফেরি চলাচল চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, বিকেল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ফেরি তো যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়, যানবাহন পরিবহনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন সবাই যেখানে আছেন সেখানে ঈদ করুন। কিন্তু কিছুতেই শুনছে না, কত বেপরোয়া মানুষ…।
চলাচলের অনুমতি দেওয়ার এক ঘণ্টা আগেই এক হাজার যাত্রী নিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বনলতা ফেরি। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফেরিটি ছেড়ে যায়। ফেরিতে গাদাগাদি অবস্থায় ছিলেন যাত্রীরা। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই রোদে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায় যাত্রীদের।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানালেন যাত্রীরা। সকাল থেকে এ পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে দু-তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে গেছে ১০টি ছোট ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ছিল। তবে দুপুরে যাত্রীশূন্য ছিল ফেরিঘাট। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। বিকেলে গাদাগাদি করে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানের সঙ্গে যাত্রীরা পার হয়ে যান। কোনোভাবেই তাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে অনুমতি দেওয়ার আগে হাজার যাত্রী নিয়ে বনলতা ফেরির ঘাট ছাড়ার তথ্য আমার জানা নেই।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ে ফেরি ঘাটে। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে না পারার ঘটনাও ঘটেছে।