অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (৩ মার্চ) ধানমণ্ডি, গুলশান, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
এদিকে রাজধানীর গুলশান ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতে গড়ে ওঠা কয়েকটি রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে ভবনগুলোতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা অগ্নিকাণ্ড ঘটলে, নিরাপদ প্রস্থানের রাস্তা আছে কি না পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সঠিক আছে কি না তা যাচাই করছে পুলিশ। এসময় ভবনগুলোর সিঁড়িপথে গ্যাস সিলিন্ডারসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধকতাও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
গুলশানে অভিযান পরিচালনার সময় একটি ভবনে অনিয়ম পাওয়ায় ভবন মালিককে সতর্ক করেছে পুলিশ। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা গেলেই আমরা সতর্ক করছি। কিছু কিছু জায়গায় আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। কেবল ধানমণ্ডিতেই ১৫টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অবব্যবস্থাপনার অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
আগুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার ও চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিকসহ চারজনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া চারজন হলেন: কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জিসান, চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন ও গ্রিন কোজি কটেজের ম্যানেজার হামিদুল হক বিপুল।