বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
বিপিএলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিম ইকবাল টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তামিমদের কাজ অর্ধেক এগিয়ে দিয়েছিলেন তার বোলাররাই। ১৪৯ রানের মধ্যেই রংপুরকে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছিল বরিশাল।
১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাট করতে নেনে এদিন অবশ্য ফজল হক ফারুকির প্রথম ওভারে স্ট্রাইকেই যাননি নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল। ফারুকি জুজু কাটাতে এদিন মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ইনিংসের শুরু। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অবশ্য আর ফারুকিকে মোকাবিলা না করে থাকতে পারেননি তামিম, দুই বল ডট খেলে তামিম পেয়েছেন রানের দেখা। ফারুকি এই ওভারে খরচ করেন কেবল ৩ রান। কিন্তু দেখেশুনে খেলতে থাকা তামিম ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাজঘরে ফেরেন আবু হায়দার রনির বলে।
সাজঘরে যাওয়ার আগে ৮ রান করেন তিনি। একই ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন মিরাজ। আম্পায়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে ১০ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় ডানহাতি এ ব্যাটারকে।
শেষ দিকে মিলারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। এতে ৬ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।
বরিশালের এমন জয়ে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস উপহার দেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন শেখ মাহেদী ও রনি তালুকদার। তবে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই রংপুরের শিবিরে আঘাত হানেন সাউফউদ্দিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই মাহেদীকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দি করেন তিনি। সাজঘরে যাওয়ার আগে ২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মেহেদী আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।
সাইফউদ্দিনের বলে দলীয় ১০ রানে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সাজঘরে যাওয়ার আগে ৪ বলে ১ রান করেন তিনি। এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন জেমি নিশাম। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার রনি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজের ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন রনি তালুকাদরও।
দলীয় ১৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পরে রংপুর। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলো চতুর্থ উইকেট জুটিতে জেমি নিশাম ও নিকোলাস পুরাণ। যেখানে তাদের ব্যাটে রংপুর আশা দেখতেছিল ভালো কিছুর। কিন্তু সেই আশা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি বরিশাল।
দলীয় ৪৮ রানে পুরাণ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকেননি নিশামও। দলীয় ৪৮ রানে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা রংপুর ষষ্ট উইকেটে লড়তে থাকেন নবী ও সোহানের ব্যাটে। তবে এই উইকেটে জুটিতেও এদিন ভরসা দিতে পারেননি রংপুরকে।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কয়েকবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরা থেকে গেছে বরিশালের। এবার শিরোপার লড়াইয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে তারা।