বুধবার রাতে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
এনটিআরসিএ’র পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কাজী কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনটিআরসি কর্মকর্তারা বলছে, এই শূন্য পদের তালিকা চাওয়ার মাধ্যমে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হলো। শূন্য পদের তালিকা পাওয়ার পর তা যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হবে।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এনটিআরসিএ। এরপর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত শূন্যপদ ধরে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৫৫ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা থাকতে পারে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকার। তার আগে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন্ন পদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে। সেজন্য আজ এই তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ।
নির্দেশনায় বলা হয়, ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনা) থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্ত শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত। আর ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।
এতে বলা হয়, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় এনটিআরসিএ-এর অধিভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে চাহিদা প্রদান করতে হবে। পূর্বের কোনো গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় চাহিদা কোনভাবেই বহাল থাকবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সকল শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে হবে। অফলাইনে, হার্ডকপিতে অথবা ই-মেইলে কোনো চাহিদা গ্রহণযোগ্য হবে না।
যেভাবে চাহিদা পাঠাতে হবে
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের নিজস্ব User ID এবং Password ব্যবহার করে http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে অথবা এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটের (www.ntrca.gov.bd) ই-রিকুইজিশন নামক সেবা বক্সের ই-রিকুইজিশন লগইন অপশনে ক্লিক করে e-Requisition প্লাটফরমে প্রবেশ করে অনলাইন ফরমটি পূরণপূর্বক শুধুমাত্র MPO ভুক্ত শুন্যপদের পদ লেখে পাঠাবেন। অনলাইন ফরমটি পূরণের সময় এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে দেওয়া ই-রিকুইজিশন সংক্রান্ত নির্দেশিকাটি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শূন্য পদের তালিকাটি ই-রিকুইজিশন গ্রহণকালে একই সঙ্গে আঞ্চলিক পরিচালক/উপ-পরিচাল যাচাই করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত শূন্য পদের তালিকায় কোনো ভুল লক্ষ্য করলে আঞ্চলিক পরিচালক/উপপরিচালক সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ই-রিকুইজিশনটি সংশোধনপূর্বক নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই এনটিআরসিএ বরাবর Submit করবেন।