সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক বলেছেন, রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়া যেসব কনটেইনার পাঠিয়েছে, সেগুলো ১৫২ মিলিমিটারের ৩০ লাখের বেশি কামানের গোলা অথবা ৫ লাখ রাউন্ড গুলি বহন করতে পারে।
শিন বলেন, ‘‘কনটেইনারগুলোতে দুই ধরনেরই গুলির মিশ্রণ থাকতে পারে। কমপক্ষে কয়েক মিলিয়ন গুলি যে পাঠানো হয়েছে, তা বলা যায়।’’
দক্ষিণ কোরিয়ার এই মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কাঁচামাল ও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির শত শত কারখানা নিজেদের সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ উৎপাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ার জন্য কামানের গোলা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারখানাগুলো পুরোদমে তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছে।’’ তবে এসব তথ্যের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাননি মন্ত্রী শিন।
দীর্ঘদিন ধরে পিয়ংইয়ং এবং মস্কোর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ করে আসছে সিউল ও ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করায় উত্তরের নিন্দাও জানিয়েছে দেশ দুটি। তবে সামরিক সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার করলেও উভয় দেশই অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ায় অস্ত্রবাহী অথবা অস্ত্র তৈরির কাঁচামালবাহী ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৯ হাজার কনটেইনার পাঠিয়েছে রাশিয়া; যার বেশিরভাগই খাদ্য সরবরাহ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করার লক্ষ্যে পিয়ংইয়ংয়ে এসব চালান পাঠিয়েছে মস্কো।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা কনটেইনারের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে গত বছরের জুলাই থেকে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি কনটেইনার পাঠিয়েছে। শিন বলেছেন, মস্কো প্রযুক্তিগত সহায়তা অব্যাহত রাখায় উত্তর কোরিয়া আগামী মাসে আরেকটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।