ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার দুই ছেলে হিমায়ন ও বিশ্বায়ন। এক জনের বয়স ৮ বছর, অন্য জনের বয়স ১৩ বছর। রোববার সন্ধ্যায় দুই ভাই গিয়েছিল মাঠে খেলতে। খেলার সময় হঠাৎ শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে অভিনেতার ছোট ছেলের। তাদের ফ্ল্যাটের উল্টো দিকের একটি বাড়ির সামনে নালার সামনে প্রস্রাব করে সে। দেখা মাত্রই বাড়ির মালিক বেরিয়ে এসে প্রথমেই হাত মুচড়ে দেন বছর আটেকের হিমায়নের।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনাথের স্ত্রী দেবিকা বসুর বলেন, ‘‘ভদ্রলোক আচমকা এসে ওর হাতটা মুচড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দে’। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে আমার বড় ছেলে এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে’। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে, ‘আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেব, আমায় ছেড়ে দাও’। তখন ওই ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলেন, ‘তা হলে তুই চেটে পরিষ্কার করে দিয়ে যা’।’’
এদিকে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথ। তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে হট্টগোল পাকাতে চান না তিনি। শুধু বলেছেন, ‘‘গোটা ঘটনাটা কল্পনাতীত। এই ঘটনায় ও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে ছোট তো, ভুলতে সময় লাগবে। যদিও সোমবার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধেই গিয়েছে পরীক্ষা দিতে।’’