রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে আর্থিক খাতের সংস্কারে নেওয়া ১৭ দফার ‘রোডম্যাপ (কর্মকৌশল)’ নিয়ে কথা হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
একদিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসেন অ্যানা বেজার্ড। তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
রোববার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা তহবিল চান প্রধানমন্ত্রী। আর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার তাগিদ দেন বেজার্ড। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের যা যা করার তা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, সংস্কারের এজেন্ডাগুলো (পদক্ষেপ) বাস্তবায়িত হলে আর্থিক খাতে করপোরেট গর্ভন্যান্স (প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন) নিশ্চিত হবে, খেলাপি ঋণ কমিয়ে এনে ব্যাংকিং খাতে তার প্রভাব আনতে পারবো আমরা; এটি তাদের জানানো হয়েছে।
‘সংস্কারের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়িত হলে আর্থিক শৃঙ্খলা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় আসবে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। আমাদের এ সংস্কারের পদক্ষেপকে তারা এপ্রিসিয়েট (স্বাগত জানানো) করেছেন,’ যোগ করেন তিনি।
আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশ্ব ব্যাংকের কোনো সহযোগিতা লাগলে তা তারা দিতে চেয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কারের কার্যক্রম বাস্তবায়নের কোনো পর্যায়ে সহযোগিতা লাগলে জানানো হবে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। গত এক বছরেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ।
চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে ১৭ দফার ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।