অল অ্যাঞ্জেলেসের মাঠে গতকাল বল দখলে এগিয়ে ছিল মিয়ামিই। ম্যাচের ৬৪ শতাংশ সময়ই বল নিজেদের পায়ে রেখেছিলেন মেসিরা। তবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেও খুব একটা আক্রমণে যেতে পারেনি মিয়ামি।
এদিকে মিয়ামির বিপক্ষে কাল ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত লস অ্যাঞ্জেলেস। ১৩ মিনিটে নিজেদের বক্সে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন সার্জিও বুস্কেটস, ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে গোল করার লক্ষ্যে শট নেন রিকি পুজ, তবে তাঁর নেয়া শটটি ফিরিয়ে দেন মিয়ামি গোলরক্ষক। এরপর পুরো ম্যাচেই কাল মেসিদের বাচিয়েছেন মিয়ামির গোলরক্ষক ডেরেক ক্যালেন্ডার।
বেশ কয়েকবার গোল করার লক্ষ্যে আক্রমণে গিয়েও ব্যর্থ হয় লস লঞ্জেলেসে। তবে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে গোলের দেখা পায় দলটি। রিকি পুজের নেয়া শট মিয়ামি গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেয়ার পর বল পান লস অ্যাঞ্জেলের মার্কো ডেলগাডো। তাঁর কাছে থেকে বল পেয়েই মিয়ামির জালে লক্ষ্যভেদ করেন সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ইয়োভেলিচ।
এদিকে ম্যাচের নির্ধারিত নব্বই মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়েই ছিল মিয়ামি। তবে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সাবেক বার্সা সতীর্থ ডেভিড আলবার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় মিয়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মেসি। আর্জেন্টাইন জাদুকরের শেষ মুহূর্তের এই গোলের শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিয়ামি।