শনিবারের এই বিমান হামলায় হুথিদের অন্তত ১৮টি স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন। খবর বিবিসির
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, মিত্রদের সাথে মিলে তারা হুথিদের ক্ষমতাকে আরও অবনমিত করার লক্ষ্য নিয় কাজ করে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন যে, তার দেশ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।
হুথিদের এই হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গত ১১ই জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে যৌথ হামলা চালিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
লোহিত সাগরের নৌ রুট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক রুট গুলোর একটি। কিন্তু হুথিরা হামলা শুরু করার পর বড় কোম্পানি গুলোর অনেকেই ওই রুট থেকে তাদের পণ্যবাহী জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। ফলে সারা বিশ্বেই পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে৷
একটি যৌথ বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে যে, শনিবার ইয়েমেনের আটটি স্থানে হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে জরুরি এবং আনুপাতিকভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক নৌযান এবং নিরীহ নাবিকদের জীবনকে যারা হুমকির মুখে ফেলছে, সেই হুথিদের ক্ষমতাকে অবনমিত করার লক্ষ্যে তাদের ব্যবহার অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে ধ্বংস করতেই নির্ভুলভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত হুথিরা ৪৫টিরও বেশি পণ্যবাহী জাহাজ ও অন্যান্য নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এতে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। কাজেই এটি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে।
আর সেজন্যই অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে হুথিদের উপর এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, সমুদ্রে জীবন ও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাই আমাদের রয়্যাল এয়ার ফোর্স ইয়েমেনে হুথিদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে নির্ভুলভাবে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে, তারা হুথিদের সাতটি জাহাজবিধ্বংসী মিসাইল ধ্বংস করেছে। মিসাইলগুলো হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলেও জানিয়েছিল তারা।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত একটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ঘটনার পর জাহাজটির নাবিক ও অন্যান্য কর্মীরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে জাহাজ ফেলে রেখে চলে যান।