তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা মিলল কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রীর খোলামেলা ছবি। সেটাও কি না তুলেছেন খোদ স্বামী। যা মুহূর্তেই ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।
শ্রীময়ীর ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের পাড়ে কোনো রিসোর্টের ব্যালকনিতে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী। পরনে শ্যাওলা সবুজ জাম্পস্যুট। পোশাকের ফাঁকেই দেখা যাচ্ছে লাল অন্তর্বাস।
ছবিগুলো তুলে দিয়েছেন স্বামী কাঞ্চন মল্লিক, পোস্টে সেটাও উল্লেখ করেছেন শ্রীময়ী। যা দেখেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শুরু। কেউ লিখেছেন, হানিমুনে গিয়েও এসব! কারো মন্তব্য, বাবার বয়সী পুরুষকে বিয়ে করেও উষ্ণতা ছড়াতে ভুল করছেন না!
যদিও সেসবের কোনো মন্তব্যেরই পাত্তা দেননি এই দম্পতি। কারণ শুরু থেকেই বিয়ে নিয়ে নানা কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে। এর অন্যতম কারণ দুজনের বয়সের পার্থক্য।
শ্রীময়ীর বয়স যেখানে ২৬, কাঞ্চনের বয়স ৫৩ বছর। অর্থাৎ দ্বিগুণ বয়সের ডিভোর্সি পুরুষকে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী। সেটাও কিনা অভিনেতা যখন বিবাহিত ছিলেন সেসময় থেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে।
যদিও অসম বয়স, কাঞ্চনের একাধিক বিয়ে, নতুন সংসার নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘সমাজের হয়তো খুব খিল্লি করতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু যখন কোনো মানুষ সম্পর্ক গড়ে, তখন তো ভাঙার জন্য করে না। সবাই নিজের সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে চায়। কোনো সম্পর্ক টিকছে না মানেই যে তারা খারাপ তা নয়, হয়তো অনেককিছু ভেবেই তারা বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের দুই-তিনটে বিয়ে থাকতেই পারে। আমি বা আমার পরিবার অতীত নিয়ে চর্চা করতে পছন্দ করি না। এটা আমার সঙ্গেও হতে পারত। মানুষটা তো তুচ্ছ নয়। নতুনভাবে শুরু করেছি। আমার কাছে তৃতীয়-চতুর্থ বিয়ে কোনো ব্যাপারই না।’
কাঞ্চনের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ম্যাচিওর রিলেশনশিপে বিশ্বাসী। সিক্স প্যাক, ফোর প্যাক বা চুলে স্পাইক করা কারো সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইনি। আসলে বয়সের ব্যবধানে নিজেদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া থাকে। তবে পরিবারের ক্ষেত্রে এটা নিয়ে ভাবনা খুব স্বাভাবিক। এখন হয়তো কম বয়স বলে বুঝতে পারছি না। আগামীদিনে হয়তো বুঝতে পারব। তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই।’