যুক্তরাজ্যকে পর্যটন, শিক্ষা ও ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে এই গ্রেট ক্যাম্পেইন। এছাড়া গ্রেট স্কলারশিপ ও উইমেন ইন স্টেম স্কলারশিপের মতো বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করছে। বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতার সম্ভাবনা উন্মোচন করতে এবং আগামী প্রজন্মের নেতা ও উদ্ভাবকদের সক্ষম করে তুলতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন, যুক্তরাজ্যের যেসব উদ্ভাবন বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাই গ্রেট টকসের লক্ষ্য। এই আলাপের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা তৈরি ও পেশাগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই।
সেশনগুলোতে আলোচক হিসেবে ছিলেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার প্রফেসর সেতু বিজয়কুমার। তিনি বেশকয়েকটি বিশ্বখ্যাত রোবোটিক প্ল্যাটফর্মের রিয়েল-টাইম নিয়ন্ত্রণে বৃহৎ মাত্রার মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এর মধ্যে সার্কোস ও হোন্ডা আসিমো হিউম্যানোয়েড ও আইলিম্ব প্রোস্থেটিক হ্যান্ড রয়েছে।
অধ্যাপক বিজয়কুমার বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এআই ও রোবোটিক্সই আমাদের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এনিয়ে দুশ্চিন্তা না করে আমাদের উচিত নতুন প্রজন্মের রোবট ও এআইকে কীভাবে মানুষের উপকারে ও বিভিন্ন খাতে কাজে লাগানো যায় এর সবচেয়ে ভালো উপায় খুঁজে বের করা। সর্বাধুনিক অ্যালগরিদম ও হার্ডওয়্যারের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে এবং সঠিক পরিস্থিতি ও চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে রোবট ব্যবহার করা যায় তা শেখার মাধ্যমে, এই সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি থেকে আমরা সবাই উপকৃত হতে পারি।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিশশা বলেন, গ্রেট টকসে এআই ও রোবোটিক্স নিয়ে আলোচনায় অধ্যাপক সেতু বিজয়কুমারকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমানের ডিজিটাল যুগে মানবজাতিকে আরও কার্যকরভাবে সহায়তা করার ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের এআই ও রোবোটিক্সের জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরি। গ্রেট টকসের এই সেশনগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তন, মেশিন লার্নিং ও এআইয়ের মতো সাম্প্রতিক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেখার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তুলবে।
আলোচনায় সুগঠিত মাল্টি-মডেল সেন্সিং, শেয়ারড রিপ্রেজেন্টেশন এবং এআইয়ের মতো প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে রোবোটিক্সের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পরিমাপযোগ্য রিয়েল-টাইম লার্নিং ও অ্যাডাপ্টেশনসহ শক্তিশালী মেশিন লার্নিং কৌশলের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।