মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে দাম সমন্বয় করতে চাই। বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম সামান্য পরিমাণে বাড়তে পারে। যারা বড় গ্রাহক তাদের দাম তুলনামূলক বেশি বাড়তে পারে। আমরা স্বাবলম্বী গ্রাহকদের ভর্তুকি দিতে চাই না।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে গেছে ডলারের রেট। আগে ডলার ৭৮ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রায় ১২০ টাকার মতো হয়ে গেছে। এক ডলারে প্রায় ৪০ টাকার মতো বেশি খরচ হচ্ছে। এতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মার্চ থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে জ্বালানি তেলের দাম। নতুন দর প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্যকর করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে দাম বাড়বে, আর কমে গেলে কমে আসবে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী সমন্বয় করা হলে দাম বাড়বে, না-কি কমে আসবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেল আমদানির কর্মাশিয়াল এনভয়েজ অনুযায়ী ডিউটি ধরা হলে দাম কিছুটা বেড়ে যাবে। আর যদি পরিমাণ ভিত্তিক ডিউটি বিবেচনা করা হয় তাহলে দাম না বাড়ালেও চলে।
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এর তিন সপ্তাহ আগে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি দাম গড়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আর গণশুনানির মধ্যদিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে গ্যাসের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।