আবুল বাশার বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে। তিনি মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে ছিলেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাশারকে কারাগারে পাঠানো হয়। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুস্থতা অনুভব করায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে আবারও তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ২০১৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হাজতে বন্দী ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জ থানায় এ মামলা করা হয়।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মো. জাবেদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাদশা হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে তার বুকে ব্যথা উঠত। একাধিকবার তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আপাতত মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।