তিনি জানান, শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে সঠিক তথ্য যাছাই না করে সংবাদ প্রচার করেছেন। এতে অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। আসলে তহুরা নামের ওই শিশুর মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণে হয়নি। শিশু হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট আমি পেয়েছি। সেখানে লেখা আছে মেনিনজাইটিস সংক্রমণ। মেনিনজাইটিস হচ্ছে মস্তিষ্কের পর্দার প্রদাহজনিত একটি রোগ।
এই চিকিৎসক বলেন, শিশু তহুরা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমে ভর্তি ছিল। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরের বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এটি অত্যন্ত দুঃখের খবর। শিশুটি বাবা আমাকে জানিয়েছেন, ঢাকার চিকিৎসরাও তাকে বলেনি যে তহুরা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অথচ বিভিন্ন দিকে নিপাহ ভাইরাসের কথা ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন সান্টুর তিন বছরের মেয়ে তহুরা সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বরিশালের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও কোনো উন্নতি না হলে ঢাকায় নেওয়া হয়। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় শিশু হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। তহুরার বাড়ি গ্রামে। মৃত্যুর এক মাস আগে সে খেজুরের কাঁচা রস পান করেছিল। অনেকেই ধারণা করছেন রস খাওয়ায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে শিশুটি।
সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিশু তহুরার মৃত্যুতে আমরা গ্রামবাসী সকলেই ব্যথিত। এলাকায় ছড়িয়েছে শিশুটি নিপাহ ভাইরাসে মারা গেছেন। আসলে শিশুটি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অন্য ভাইরাসের কথা এসেছে। যারা নিপাহ ভাইরাসের কথা বলেছে তারা না বুঝে বলেছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানবিদ আহসান কবীর বলেন, বরিশাল বিভাগের কেউ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আমরা তা লিপিবদ্ধ করি। বিভাগে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়েছে বলে তথ্য নেই।