মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উমরাহ প্রক্রিয়া সহজ, উন্নতমানের সেবা এবং সৌদির সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সৌদির ভিশন-২০৩০ এর অংশ।
হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা সহজেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে তাদের উমরাহ পালনের পরিকল্পনা সাজাতে পারবেন। চাইলে এসব দেশের নাগরিকরা সৌদিতে পৌঁছেই উমরাহ করতে পারবেন।
এছাড়া এসব দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি। তারা ঘোরাঘুরির জন্য নাকি উমরাহ পালনের জন্য এসেছেন; সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। এটি ভিসাধারীদের নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সঙ্গে, ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমেও উমরাহ পালন করা যাবে। তবে তাদের সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে আসতে হবে। পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য উমরাহ পালন সহজ করার অংশ হিসেবে এমন সুযোগ রেখেছে সৌদি।
এদিকে হজ ও উমরাহর মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। হজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমি নর-নারীর জন্য হজ পালন বাধ্যতামূলক। আরবী বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজে হজ পালন করা হয়।
অপরদিকে উমরাহ হলো একটি ঐচ্ছিক বিষয়। বছরের যে কোনো সময় উমরাহ পালন করা যায়। উমরাহতে গিয়ে মুসলিম ঐতিহ্যের বিভিন্ন অবকাঠামো ও পবিত্র কাবা শরীফ অবলোকন করার সুযোগ পান মুসল্লিরা।