হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কনসারভেটিভ ট্রিটমেন্ট চলছে মিঠুনের। মস্তিষ্কের রক্তনালিতে জমাট দেখা যায়নি। তবে শরীরের ডান পাশ বেশ দুর্বল। ইতোমধ্যেই তাকে দেখতে কলকাতায় পৌঁছেছেন বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী মিমো।
শনিবার রাতেই তাকে হালকা খাবার দেওয়া হয়েছিল। সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘মহাগুরু’।
সন্ধ্যায় অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে প্রচারিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়, ৭৩ বছরের মিঠুন চক্রবর্তী সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত, আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল।” এমআরআই রিপোর্ট অনুযায়ী তার শরীরের ডানদিকে সাময়িক জড়তাবোধ করছেন। বিশিষ্ট স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। স্নায়ু, হৃদ্রোগ, মেডিসিন, গ্যাস্ট্রএন্টেরোলজি-সহ চার সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
মিঠুনের অসুস্থতার খবরে, ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্ট্রোক করেছেন এই অভিনেতা। অনেকেই বলেছেন বুকে ব্যথা নিয়েই হাসপাতালে গেছেন তিনি।
তবে মিঠুনের পুত্রবধূ মাদলসা শর্মা জানালেন ভিন্ন কথা। শ্বশুরের স্ট্রোক কিংবা বুকে ব্যথার গুঞ্জনকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
আনন্দবাজারকে মাদলসা বলেন, ‘বুকে ব্যথা, স্ট্রোক, এসবই ভুয়া কথা। রুটিন চেকআপের জন্যই আমার শ্বশুরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থাও স্থিতিশীল।’