এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গণমাধ্যম কর্মীদের উপর আক্রমণসহ নির্বাচনে সহিংসতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের উপর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের উপর বিধিনিষেধের নিন্দা জানান। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান সমুন্নত রাখার জন্য দেশের নির্বাচনী কর্মী, সুশীল সমাজ, মিডিয়া কর্মী এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশংসা করা হয়।
মিলার বলেন, ‘রেকর্ড সংখ্যক নারী, ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু আর তরুণ এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী সরকারের সাথে অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী— এখন পর্যন্ত ২৫০ আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই পিটিআই, অর্থাৎ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত। ৭১ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। তার দল পেয়েছে ৫৩ আসন। এছাড়া এমকিউএম ১৭ আসনে এবং অন্যান্য দল ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের। ২৬৬ আসনের একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী গুলিতে নিহত হওয়ায় সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৬৫ আসনে।
দেশটির মসনদে কারা বসছেন সেটি এখনও পরিষ্কার হয়নি। ইমরান খানের দল সরকার গঠন করতে চাইলে কারও সঙ্গে জোট করতে হবে। সেটি কীভাবে হবে এবং শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে ক্ষমতা আসবে সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে।