ডন ও জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮, ১৮ এবং ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৮ নম্বর আসনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ভোটের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। সেখানেও ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট। একই কারণে পুনরায় ভোট হবে ৯০ নম্বর আসনেও।
খবরে বলা হয়েছে, ২৪২ নম্বর আসনের একটি ভোটকেন্দ্রে কথিত ভাংচুরের বিষয়ে জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে ইসিপি।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী একক দল হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন) ৭১টি। সর্বশেষ ফলাফল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিতসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে জয়ী হতে হবে।
শনিবার দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানের ‘স্থিতিশীল শক্তি’ দরকার এবং ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। জেনারেলরা দীর্ঘসময় দেশ পরিচালনা করেছেন। সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারার পর জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতির পরিবর্তে দেশে স্থিতিশীল শক্তির প্রয়োজন। নিরাময়ের ছোঁয়া প্রয়োজন।’