ভুক্তভোগী সবুজ আলী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আবজাল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটা শ্রমিক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ছানিয়ানতলা গ্রামের ইটভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেল ও ম্যানেজার আসাদুল্লাহ মিয়া (৭০)।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নব্বইয়ের বাজার সংলগ্ন আব্দুল গনি ব্রিকস ফ্যাক্টরি থেকে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় সবুজ আলীর বাবা আবজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে ইটভাটার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মো. সবুজ আলী ইটভাটার কাজ করার জন্য ৪০ দিন আগে নিজ বাড়ি থেকে একই এলাকার ইটভাটার সর্দার আনসার আলীর নেতৃত্বে ১৮ জনের একটি দল ঈশ্বরগঞ্জের আ. গণি ব্রিকসে কাজ করার জন্য আসেন। সর্দার আনসার আলী ওই ইটভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেলের সঙ্গে ৩ লাখ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তির ৩ লাখ টাকা নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সবুজ আলীকে ইটভাটায় রেখে সর্দার আনসার আলী অন্য শ্রমিকদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার জেরে ইটভাটার মালিক খাইরুল আলম রাসেল টাকার জন্য সবুজ আলীকে ইটভাটার ম্যানেজারের রুমে নিয়ে পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন করেন এবং সর্দার আনসার আলীর কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে পুলিশ স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সবুজ আলীকে উদ্ধার করে।