এই দুই দলের অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে বাংলাদেশের দিকে। এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে জয়জয়কার বাংলাদেশের মেয়েদের। শেষ ৪ বারের তিনবারই শিরোপা এসেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ফলে বাংলাদেশ এই ম্যাচে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা, বেশ সমর্থনও পাবে তারা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল। টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দলও বাংলাদেশের মেয়েরা।
ভারত মানে শক্ত প্রতিপক্ষ, কঠিন লড়াই। সেটা যেন আগে থেকেই জানা সবার। কোচও মনে করিয়ে দিলেন সেই কথা, এটা ভিন্ন টুর্নামেন্ট, তুলনামূলক ভালো দলটিই জিতবে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম যে ম্যাচটা খেলেছিলাম, সেখানেই তো বুঝেছিলাম কঠিন প্রতিপক্ষ। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছিল ওটা। ফাইনালেও ভারতকে সমীহ করতে হবে। ওভাবে নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।
এদিকে ভারতও আছে দারুণ ফর্মে। গ্রুপপর্বে তারা ভূটান ও নেপালকে নিয়ে রীতিমত ছেলে-খেলা করেছে। সব মিলিয়ে তারা করেছে ১৪ গোল। ডিফেন্সেও বেশ দারুণ তারা। হজম করেছে মাত্র একটা গোল। তাও সেটা বাংলাদেশের বিপক্ষে। ওই একটা ম্যাচেই অবশ্য তাদের দেখতে হয়েছিল হারের মুখে।ফাইনাল ম্যাচটা ভারতের জন্য প্রতিশোধেরও বটে।
তবে কোচ শুক্লা দত্তের কণ্ঠে শোনা গেলো না তেমন কিছু, প্রতিশোধ এই মানসিকতা আমার মধ্যে নেই। খেলতে এসেছি, খেলবো। আবার বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হচ্ছে (ফাইনালে), সেটাই বড় ব্যাপার। আমারও ভালো লাগবে বাংলাদেশের সঙ্গে আবারও খেলতে, একটা ম্যাচ ওদের বিপক্ষে খেলে হেরেছি, দেখা যাক, ফাইনালে কী হয়।