মঙ্গলবার (৬ ফ্রেবুয়ারি) বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশ প্রবেশ করেন।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগীতায় তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে তাদেরকে জরুরী সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং সেবা ও নগদ দুই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন ও আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার এসব তাদের হাতে তুলে দেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, দালালদের খপ্পরে বিভিন্ন সময়ে ১২জন বাংলাদেশী পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের আইনশৃঙ্খলা তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরপর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগাযোগ করে তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করে আগরতলার সহকারী হাইকিমশন।
ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা বলেন, দালালরা আমাদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার করে দিয়েছিল। পরে সেখানে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। সেখানে জেল খাটার পর সেখানে একটি স্থানীয় হোম সেন্টারে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমরা পরিবার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, কাজের সন্ধ্যানে ১২ জন বাংলাদেশী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করার পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একটি হোম সেন্টারে রাখার পর দু’দেশের আইনী প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের হস্তান্তরের সময় ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা আরিফ মোহাম্মদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মকর্তারা এবং পাচার হওয়াদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।