খবরে বলা হয়েছে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও) সারাদেশে শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে। এতে গত তিন দিনে আরও ঘাঁটি এবং ৬২ সেনা হারিয়েছে জান্তা সরকার।
এই ঘটনাগুলো সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং মান্দালয় অঞ্চল, কাচিন এবং কারেন রাজ্যে ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিডিএফ এবং ইআও’র গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে- এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এছাড়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জান্তা সরকারও।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্ত-ঘেঁষা এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে মিয়ানমারের বাহিনী। এতদিন এই যুদ্ধকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা হলেও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সে দেশের একের পর এক সীমান্তরক্ষী বা সেনা সদস্যর অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশেও।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রবিবার দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি-র সদস্যরা। রোববার রাত পর্যন্ত ৯৫ জন প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।