মেসিকে মাঠে খেলতে দেখার জন্য হংকংয়ের এক হাজার ডলারের উপরে খরচ করে টিকিট কেটেছিলেন ভক্তরা। শুরুর একাদশে মেসি না থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে উপস্থিত ভক্তরা ‘আমরা মেসিকে (মাঠে) চাই’ চ্যান্ট করেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হয়নি। দুয়োও দেন মাঠে থাকা ভক্তরা। খেলেননি সুয়ারেজও।
ফলে হাইব্রিড প্রীতি ম্যাচে মেসিকে এক মিনিটের জন্যও মাঠে না নামানোয় আয়োজকদের অর্থ কাটার ঘোষণা দিয়েছে হংকং সরকার। হংকং একাদশ-ইন্টার মিয়ামি ম্যাচটির জন্য আয়োজকদের অনুদান দিয়েছিল হংকং সরকার। সেখান থেকে অর্থ কেটে রাখার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
হংকংয়ে বিশ্বকাপজয়ী মেসিকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মিয়ামি কোচ মার্টিনো। আর্জেন্টিনার তারকা এই ফুটবলারের খেলা দেখার জন্য উচ্চমূল্যে টিকিটও কেনে ফুটবলপ্রেমীরা। তবে তাদের শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। কারণ, এক মুহূর্তের জন্যও ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি মেসির। এদিকে মেসিকে না খেলানোয় আয়োজক টেটলার এশিয়ার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছে হংকং সরকার।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, মেসি না খেলায় সরকার ও ফুটবল ভক্তরা হতাশ। আয়োজকদের কাছে সব ফুটবল ভক্ত ব্যাখ্যা পাওয়ার দাবি রাখে। বিবৃতিতে জানানো হয়, মায়ামি-হংকং একাদশ ম্যাচের জন্য হংকংয়ের মেজর স্পোর্টস ইভেন্টস কমিটি (এমএসইসি) ভেন্যু বাবদ ১০ লাখসহ মোট দেড় কোটি হংকং ডলার অনুদান দিয়েছিল।
মেসি না খেলায় এখন আয়োজকদের প্রদেয় অর্থ কেটে নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এমএসইসি আয়োজকদের সঙ্গে হওয়া শর্তাবলির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যার মধ্যে মেসি না খেললে তহবিলের পরিমাণ হ্রাস অন্তর্ভুক্ত।