রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বলে জানান তিনি।
সাময়িকভাবে অনির্দিষ্টকালেরকালের জন্য বন্ধ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ পারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বিজিবি জানায়, প্রথম ধাপে ১৪ জন, পরে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ আরও পাঁচ সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এরপর এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। আরও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশের প্রবেশের অপেক্ষা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছোড়া গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সেখানে তিনজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির সিসা ও রকেট লাঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এতে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।