এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- কোনার পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর (৫০), রহিমা বেগম (৪০) এবং শামশুল আলম। এর ফলে আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে তিন গ্রামের মানুষ।
মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হেফাজতে আছে।
এদিকে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ জানান, কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া ও বাজার পাড়া এই তিন গ্রামের হাজারো মানুষ আতঙ্কে গত রাত থেকে বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। গৃহপালিত পশুপাখি কিংবা মালামাল নেওয়ারও সুযোগ হয়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সীমান্তে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ৩৪ বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের কথা থাকলেও পরে তা করা হয়নি।