মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের ওপর গজব পড়েছে। এই যে ৭ তারিখে (৭ জানুয়ারি) এটা কি ভোট? হায়রে। সেদিন ঢাকা মহানগরের কোথাও ভোটার ছিলো না, সারা দেশে খোঁজ নেন কোথাও ভোটার ছিলো না। এতো বড় ফোরটোয়েন্টি ভোট করে কি টিকে থাকা যাবে? এখন আম গাছ যা, জাম গাছ যা, ডাবগাছও তাই। নৌকা যা, ট্রাকও তা, ঈগল মার্কাও তাই।
মান্না আরও বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া একটা লোক পাবেন না, জিজ্ঞেস করেন ভাই আওয়ামী লীগ কি ভালো দল?কোনো লোক বলবে না। তার মানে এই ভোট করার পরে আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতাদের, তাদের মন্ত্রীদের, তাদের প্রধানমন্ত্রীর সন্মান বলে কিছু নেই। সারা দেশের লোক বলেন, খুলনার লোক বলে, এককথায় আমি বলি এরা সব ফোরটোয়েন্টি, ঠক, প্রতারক, মিথ্যা কথা বলেছে।
তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকজন এখন ওইরকম গরম গরম ভাব দেখাচ্ছে না। আনন্দ ভাব দেখাচ্ছে না যে, ভোট করে ফেলেছি, পাঁচ বছর আছি শান্তিতে। আমি বলি, তোমরা যে শান্তিতে নাই তার প্রমাণ আমরা ৭ তারিখের আগে থেকে লাগাতার রাস্তায় আছি। রাস্তা ছেড়ে যাবো না। ৩০ তারিখ বিএনপি মিছিল করতে চেয়েছে তাদেরকে মিছিল করতে দেয়নি। কেনো বলেন তো? একটা মিছিল করলে ওদের (সরকার) কি হয়? তারা মনে করে এখনও যদি মানুষ মিছিল করে, দলগুলো মিছিল করে এক‘শ লোক মিছিল করবে, এক হাজার লোক যোগ দেবে। শেষ পর্যন্ত সারা ঢাকা শহরের মানুষ মিছিল করতে থাকবে এবং তাদের গদিতে টান লাগবে।
সরকার পরিবর্তন ছাড়া বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনও থামবে না বলে উল্লেখ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলেরশাহ আবদুল্লাহ হেল কাফি, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ বক্তব্য দেন।