গ্রাহক সেজে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুদকের এনফোর্সমেন্টের টিমের অভিযানে হাতেনাতে বাবু রায় নামের একজন দালালকে আটক করেছিল। আর মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পরিচালিত অভিযানে একজন দালাল, দুজন আনসার সদস্য ও বিআরটিএতে কর্মরত একজন সিএনএস কর্মীকে হাতেনাতে ধরে দুদক টিম।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দালাল ও সিএনএস কর্মীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং অভিযুক্ত দুই জন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিরপুর বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে বিভিন্ন সেবা দিতে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিন-এর সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযানে অংশ নেয়। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে গ্রাহক হিসেবে সেবা নিতে গেলে উক্ত দপ্তরে দালালদের আনাগোনা দেখতে পায়। এ সময় একজন দালাল, দুই জন দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও বিআরটিএতে কর্মরত একজন সিএনএস কর্মীকে হাতেনাতে ধরে দুদক টিম।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, হাতেনাতে আটকদের ফোনে বিভিন্ন অ্যাপে বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম তাদেরকে পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্’র কাছে উপস্থিত করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উক্ত দালাল ও সিএনএস কর্মীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত ২ জন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে টিম বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাবলি তুলে ধরলে তিনি দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দপ্তরগুলোকে জনবান্ধব করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এর আগে একই অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জানুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। এ সময় এনফোর্সমেন্ট টিম একজন দালালকে হাতেনাতে ধরেছিল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল।