ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই আদেশ শুধু মিথ্যা নয় বরং আপত্তিকর। খবর আরটির
আদালত বলেছেন, ‘গণহত্যা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ-২ এর সমস্ত ধারা রক্ষায় ইসরায়েলকে তার ক্ষমতার ব্যবহার করতে হবে।’
শুধু গাজায় ইসরায়েলি সামরিক পদক্ষেপ দ্রুত বন্ধের আদেশ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা যা চেয়েছিল তাঁর বেশিরভাগই পূরণ হয়েছে রায়ে। আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় দেশটির সৈন্যরা যাতে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছে।
এদিকে গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়কে ভণ্ডামি বললেন ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অবস্থিত ওই আদালতকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই উগ্রপন্থী ইহুদি নেতা লিখেছেন, ‘হেগ শ্মাগ (শ্মাক)। হেগের ইহুদিবিদ্বেষী আদালতের রায় প্রমাণ করে- এই আদালত ন্যায়বিচার চায় না বরং এটি ইহুদি জনগণের ওপর নিপীড়ন সমর্থন করে। হলোকাস্টের সময় তারা নীরব ছিলেন এবং আজ তারা তাদের ভণ্ডামিতে আরও এক স্তর অগ্রসর হয়েছেন।’
আইসিজের রায়ের সমালোচনায় ইতামার বেন গাভির বলেন, ‘আমরা এই ধরনের বিপজ্জনক রায় মেনে চলতে পারি না, যা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অস্তিত্বকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সম্পূর্ণ বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবশ্যই শত্রুকে নির্মূল করতে হবে। ’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ২৬ হাজার ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত ৬৪ হাজার ৪৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৮৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজায় ত্রাণ বা মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫০ জন।