দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টার বলছে, বুধবার সেরেমবান এলাকায় স্থানীয় অভিবাসন বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১১০ বিদেশিকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের পরিচালক কেনিথ তান আইক কিয়াং বলেছেন, নথিবিহীন বিদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকালের অভিযানে আটককৃত ১১০ বিদেশির মধ্যে ৯১ জন পুরুষ।
অভিযানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রবাসী শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। তারা মেয়াদ শেষের পর অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান এবং অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন।’’
দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে ৬৪ জনই মিয়ানমারের নাগরিক। এ ছাড়া ইন্দোনেশীয় ১৩, বাংলাদেশি ১০, ভারতীয় ৬, পাকিস্তানি ৯, শ্রীলঙ্কান ৬ এবং নেপালি ২ নাগরিকও রয়েছেন।
কেনিথ তান আইক কিয়াং বলেন, বেশিরভাগ বিদেশি ওই এলাকায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণ স্থাপনায় কাজ করতেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দেশটির আরেক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোহর প্রদেশের অভিবাসন বিভাগ সেনাইয়ের কয়েকটি কারখানায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় বৈধ ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় ৬৯ বাংলাদেশিসহ ৮৫ বিদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়।
জোহর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির বলেছেন, অপারেশন মাহির নামের এই অভিযান বিদেশি অভিবাসীদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে; যাদের বৈধ ভ্রমণ নথি বা কর্মসংস্থানের অনুমতি নেই।
তিনি বলেন, বৈধ ওয়ার্ক পারমিট বা পাস ছাড়া বিদেশি শ্রমিকরা কাজ করছেন বলে তথ্য পাওয়ার পর বুধবার বিকেলে সেনাইয়ের খাদ্য কারখানা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
‘‘আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তারা মোট ১১০ জন বিদেশি ও স্থানীয় বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাদের মধ্যে ৪০ জনকে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে আটক করা হয়।’’
বাহারউদ্দিন তাহির বলেছেন, আটককৃতদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৯ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী, মিয়ানমারের ২ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী, বাংলাদেশের ৬ জন, পাকিস্তানের দুজন, নেপাল এবং ভারতের একজন করে নাগরিক রয়েছেন।