ক্রিকেটারদের মধ্যে পেসার মাশরাফির সঙ্গে একটু বেশিই সখ্যতা ছিল হোয়াটমোরের। জানা যায়– ম্যাশকে ‘পাগলা’ বলেই ডাকতেন অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ। এরপর বাংলাদেশ ছাড়লেও হোয়াটমোরের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সখ্যতা এখনও টিকে আছে। গতকাল (শনিবার) তার পুরোনো শিষ্য সাকিবের সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্রই তিনি বুকে টেনে নিয়েছেন।
এরপর আজ (রোববার) মিরপুরের একাডেমি মাঠে সাবেক কোচের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল মাশরাফিরও। প্রথমে যেন ম্যাশকে দেখে খানিকটা চমকে গেলেন ডেভ, পরক্ষণেই টেনে নিলেন বুকে। খানিক আড্ডাও চালিয়ে নিলেন এরপর। সেই আড্ডায় আলোচনার বিষয় কী থাকবে, তা অজানা থাকলেও এটা নিশ্চিত যে– কিছুক্ষণের জন্য হয়তো ফিরে গিয়েছিলেন অতীতে। পরে অবশ্য আবার যে যার কাজে ফিরেছেন।
বলে রাখা ভালো— হোয়াটমোর এবার বিপিএলে ফরচুন বরিশালের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে এসেছেন। মিরপুরে শিষ্যদের অনুশীলনে হাজির ছিলেন তিনি। একই জায়গায় পাশে অনুশীলন করছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সও, যথারীতি ছিলেন মাশরাফিও। সেখানেই মূলত এই গুরু-শিষ্যের দেখা। পরক্ষণে পুরোনো গুরুকে দেখেই ছুটে গেলেন সিলেট অধিনায়ক।
এর আগে হোয়াটমোরকে বরিশালের কোচ বানানোর কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তারা প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয় দেশের মিজানুর রহমান বাবুলকে। অন্যদিকে, হোয়াটমোরকে দেওয়া হয় টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ।
উল্লেখ্য, কোচ হোয়াটমোর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে তুলেছিলেন সুপার এইটে। সেই থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে হোয়াটমোর বড় এক নাম। এর আগে একই ভূমিকায় ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপ জেতান সাবেক এই অজি ক্রিকেটার।