ভারতের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। এই দুই ওপেনারে ভালো শুরুর পায় টাইগাররা। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি; পাওয়ার প্লের ৬.৩ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে জিশান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে নামা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান উইকেটে থিতু হতে পারেনি বেশিক্ষণ। দলীয় ৩৯ রানে শূন্য করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ যুবদের ইনংস। এতে ৮৪ রানের বিশাল জয়ে যুব বিশ্বকাপের উড়ন্ত সূচনা করলো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন সামি পান্ডে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন আরশিন কুলকার্নি ও আদর্শ সিং। ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেছিল তারা দুজন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে উইকেটের পেছনে শিবলির ক্যাচ বানিয়ে কুলকার্নিকে সাজঘরের পথ দেখান মারুফ।
তবে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েব সাইট ক্রিকবাজের তথ্য অনিসারে, আম্পায়ার ওভারস্টেপসের জন্য নো বল দিলেও টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় তার বুট পপিং ক্রিজের অনেকটা ভেতরে ছিল। ফলে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তে বৈধ বল করেও উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছে টাইগার যুবারা। এদিকে এই তারকা বঞ্চিত হলেও পরের ওভারে উইকেট তুলে নেন দুর্দান্ত বোলিং করা মারুফ মৃধা। ভারতের দলীয় ৩১ রানে মুশের খানকে সাজঘরে ফেরান এই যুব তারকা।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক উদয় শাহরান। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে জুটি গড়েন ওপেনার আদর্শ। এই দুই জনের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ম্যান ইন ব্লুরা। তবে দলীয় ১৪৭ রানে আদর্শ সিং আউট হলে ভাঙে ১১৬ রানের এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৬ চারে ৯৬ বলে ৭৬ রান করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে ভারতের হয়ে ব্যাট করতে আসেন প্রিয়াংশু মলিয়া। তাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায় উদয়। তবে সঙ্গীকে হারিয়ে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ব্যাটার। দলীয় ১৬৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরন তিনি। যাবার আগে ৪ চারে ৯৪ বলে ৬৪ রান করেন উদয়। এরপর শেষ দিকে মলিয়ার ২৩ ও দাসের ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন মারুফ মৃধা।