সাও পাওলোর আদালতে তিনি আবেদন করেছেন উইল কার্যকর করার যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন, সে জন্য কিংবদন্তির সম্পত্তি থেকে ৫ শতাংশ ভাগ যেন তাকে দেওয়া হয়। শতাংশের হিসেবে সংখ্যাটি কম হলেও, অর্থের বিচারে তা মোটেই কম নয়। পেলের মৃত্যুর পর পাওয়া তথ্য জানায়,তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১০ কোটি মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। এর বেশির ভাগই বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে আয় করা।
তবে এমন অর্থ নিশ্চয়ই উইল করার জন্যই ছেড়ে দিতে চান না পেলের পরিবার। পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকির বক্তব্য, পেপিতো পেলের সম্পত্তি ব্যবহার করে ধনী হতে চান। পেলের ইচ্ছাপত্র কার্যকর করার দায়িত্ব পেলেও পেপিতো এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখেননি। এমনকি পেলের সম্পত্তিতে ভাগ চেয়ে পেপিতো ‘দুঃসাহসের পরিচয়’ দিয়েছেন বলেও মনে করেন মার্সিয়া।
পেলের স্ত্রী মার্সিয়ার আইনজীবী লুইজ কিগনেলও পেপিতোর এই অনুরোধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার যুক্তি, পেপিতোকে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়নি, ‘এই উইল দায়িত্ব পাওয়া ব্যক্তির প্রাথমিক ভূমিকা হলো, উত্তরাধিকারদের মধ্যে কোনো বিরোধ তৈরি হলে ইচ্ছাপত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া। কিন্তু উত্তরাধিকারদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।’
কিন্তু পেপিতোর বক্তব্য, ‘পেলের মোট সম্পত্তির ৫ শতাংশ ভাগ চাওয়ার এই দাবি মেনে নেওয়া উচিত; কারণ, তাঁর ‘সম্পত্তি নিয়ে প্রচুর জটিলতা আছে, অনেককেই এর ভাগ দিতে হবে।’ যদিও এমন যুক্তিকে খোড়া হিসেবে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
শেষ পর্যন্ত এই টানাহেঁচড়া কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই এখন দেখার বস্তু। পুরোটাই এখন নির্ভর করছে সাও পাওলোর আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর।