এএফপিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি কেবল এইটুকু তথ্য নিশ্চিত করতে পারি যে ইরানের অভ্যন্তরে ঘাঁটি গেড়ে বসা পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রায় একই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে সুসংগঠিত এবং নির্ভুল সামরিক হামলা পরিচালিত হয়েছে।’
আইএসআইএর অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের দুই বিছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও গোপন আস্তানা রয়েছে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে। সেই সব স্থাপনা ও আস্তানাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এই হামলা।
ভৌগলিক বিচারে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বেলুচিস্তানের সঙ্গে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান এবং আফগানিস্তানের নিমরুজ, হেলমান্দ ও কান্দাহার প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে। জইশ আল আদেল মূলত সিস্তান-বালুচিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বিগত সময়ে কয়েকবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান থেকে ইরানের সামরিক বাহিনী ও আইআরজিসিকে লক্ষ্য করে হামলার রেকর্ড রয়েছে এই গোষ্ঠীটির।
সীমান্ত অঞ্চলে অস্থিরতা থাকলেও এর আগে কখনও উত্তেজনা দেখা যায়নি প্রতিবেশী দুই দেশ ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে মঙ্গলবারের সেই হামলার ঘটনা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান, তা কেবল পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিই নয়, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন এবং পাকিস্তানের আকাশসীমার গুরুতর লঙ্ঘণ। এর পরিণতি অব্যশই ইরানকে ভুগতে হবে।’
তার এই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানে হামলা চালাল পাকিস্তান।