গাজায় হামলা চালিয়ে প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদি নেতা নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনে গণহত্যার অভিযোগের পরও হামলা কমাতে চান না।
হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইসরাইলের ভূমিতে গোলা বর্ষণ করছে। আর হুথি হামাসের সমর্থনে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দুই দিনের শুনানি শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য দেন। দক্ষিণ আফ্রিকা এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছে। ইসরাইল এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
নেতানিয়াহু পরিষ্কার করে বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো নির্দেশকে উপেক্ষা করবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। বিধ্বস্ত হয়েছে বেশিরভাগ ঘরবাড়ি। সেখানকার বিপজ্জনক ও অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ১৮০ জন নারী সন্তান প্রসব করছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।
গাজা মিডিয়া অফিস শনিবার বলেছে যে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাদ্য ও পানি সংকটের কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি অন্তত ৮ লাখ মানুষ। সংকট মোকাবেলায় প্রতিদিন ১৩০০ ট্রাক খাদ্য প্রয়োজন। এর মধ্যে ৬০০ ট্রাক উত্তর গাজায় এবং ৭০০ ট্রাক দক্ষিণের জন্য প্রয়োজন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৩ হাজার ৮৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আরও ৩৪৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আর ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসসহ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৩০০ জন নিহত হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫-৪৬ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৫টি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ৬৯ শতাংশ স্কুল ভবন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ১৪২টি মসজিদ, ৩ চার্চ, ১২১ অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি এবং পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা ৪ হাজার। আর ইসরায়েলে আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৪১৫ জন। ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ২ হাজার ৪৯৬ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে। আর গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে আহত হয়েছে সহস্রাধিক ইসরায়েলি সেনা।