৭ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি দাবি করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলের (বিএনপির) কার্যালয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তালাবদ্ধ করে দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচন করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কৃত্রিম আনন্দে থাকলেও সরকার শঙ্কায় রয়েছে।’
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে, বিএনপি কারও দিকে তাকিয়ে নেই। বিদেশি শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার আহ্লাদিত। শেখ হাসিনা তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদীদের কাছে বিলীন করে দিয়েছে। নিরাপদ প্রস্থানের পথও সংকুচিত হওয়ায় নতজানু নীতি অবলম্বন করেছে সরকার।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য হবে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রকামীরা ২০১৪, ২০১৮ ও গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ধিক্কার জানাচ্ছে। ৭ জানুয়ারি লালকার্ড দেখিয়ে জনগণ রেফারির ভূমিকা নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও বলছেন প্রহসনের নির্বাচন।’
সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। যুদ্ধের ওপর দায় চাপিয়ে সরকারপ্রধান নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অজুহাত দিচ্ছেন। সরকারের মহাদুর্নীতি ও পাচারের কারণেই দেশের অর্থনীতিতে ধাক্কা আসছে।’