মুসলিমপ্রধান দেশের একজন নারী হয়ে পাঁচবার দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া অনেক দেশের পছন্দ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ভৌগোলিক কারণে আমাদের দেশের ওপর অনেকের নজর আছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অনেকের নজর আছে আমাদের ওপর। কাজেই এখানে বসে অন্য দেশের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এয়ার অ্যাটাক চালাবে, সেটা আমি মেনে নেব না। আমরা ছোট হতে পারি। আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবে চলব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে চক্রান্ত ছিল আমাকে আসতে দেবে না। তাদের হুকুমের দাস এমন কাউকে বসাবে। তারপর এ দেশটাকে নিয়ে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের জনগণ তার ভালো জবাব দিয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার যত দ্রুত কাজ করবে, বিএনপির অন্তর্জ্বালা তত বাড়বে। আর এখন বিএনপি নিজেরাই তাদের কার্যালয়ের চাবি হারিয়ে তালা ভাঙার নাটক করেছে।’
তড়িঘরি সরকার গঠন করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে এর জবাব দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তড়িঘরি করার কিছু নাই। সরকারে গেলে কী করব আর বিরোধী দলে গেলে কী করব, তার সবকিছুই চূড়ান্ত করা ছিল। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা একদিনও সময় নষ্ট করতে চাই না।’
টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে তিনি মন্ত্রীদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক সারেন। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় রাত যাপন করবেন। আগামীকাল রোববার বিকেলে কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সরকারপ্রধানের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। পরে প্রধানমন্ত্রী বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে তিনি বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন।