সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রথম ধাপে তিন বিভাগের ১৮টি জেলার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন। তিনি জানান, এই তিন বিভাগের ১৮ জেলার উত্তীর্ণদের ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা নিতে হবে।
জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত মোট পাঁচটি জেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা জেলাপর্যায়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লালমনিরহাট জেলায় ২৩ থেকে ২৮ জানুয়ারি এই মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২৩ জানুয়ারি আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ২৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে পৃথক আরও চারটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭-৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এছাড়াও বরগুনা জেলায় ২১-২৮ জানুয়ারি এবং নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১-২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
পৃথক পৃথক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে মৌখিক পরীক্ষার এসব সময়সূচি জানানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থীদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিগুলোতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গতবছর ৮ ডিসেম্বর রংপুর, সিলেট ও বরিশাল এই তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন।