বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মোংলা পৌরসভার সামনে শেখ আ. হাই সড়কে মোংলা উপজেলা নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন থেকে আসা সহস্রাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোংলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কামরুন নাহার হাই, পৌর কাউন্সিলর জাহানারা চানু, সোনাইলতলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাহিলা খানম বেবি ও রোজনীন অন্তরাসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, রয়েছে নারী সংসদ সদস্যও। সরকারি সামরিক-বেসামরিক বাহিনীসহ দেশের নানা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন নারীরা। বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশের পুরো নারী সমাজকে অপমান ও অসম্মান করেছেন।
তাই রাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করায় ইকরাম ইজারদারকে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা। ইকরাম চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও তাকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের পথসভায় নারী নেতৃত্ব হারামসহ নানা উসকানিমূলক কথা বলে আলোচনায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কী? কিছুই বোঝেন না।’