শপথ নিতে এদিন সকাল থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। স্পিকার শপথ কক্ষে প্রবেশ করেন সকাল ১০টা ৮ মিনিটে।
পরে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরও পর্যায়ক্রমে শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্পিকার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শপথ গ্রহণ শেষে সংসদ সদস্যরা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সচিবের দপ্তরে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। তারা দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় অংশ নেবেন।
জানা গেছে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ আলোচনা করে তাদের নেতা নির্বাচিত করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে তাদের নেতা নির্বাচিত করে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতির জন্য স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাবে।
নিয়মানুযায়ী, সংসদ নেতা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন স্পিকার। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করবেন। জানা গেছে, আগামী ২৮ বা ৩০ জানুয়ারি এই অধিবেশন আহ্বান করা হতে পারে। অধিবেশনের শুরুতেই নতুন সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে।