দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, এখনো সম্পূর্ণ ফলাফল আসেনি। ফলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে। তিনি জানান, ব্যালটে ভোট হয়েছে। গণনা করে ফলাফল দেওয়া হবে।
যদিও সিইসি প্রথমে জানান, ভোট পড়েছে ২৮ শতাংশ। পরে ইসি সচিব তাকে সংশোধন করে দিয়ে জানান, স্যার ৪০ শতাংশ হবে। বেশিও হতে পারে।
সিইসি বলেন, প্রশাসন বা পুলিশের আচরণে দু-চারটা অভিযোগ ছাড়া তেমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাদের বদলি করা হয়েছে। অনেকের দাবি ছিল, ব্যালট পেপার সকালে প্রেরণ করা। ৯০ শতাংশ জায়গায় সকালেই ব্যালট পৌঁছে গেছে। দূর্গম এলাকায় আগের রাতে পাঠানো হয়েছে।
গণমাধ্যম দক্ষতার সঙ্গে তার কাজ করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, বিকেলে আমি নেগেটিভ নিউজগুলো খুঁজচ্ছিলাম। এমন কিছু কেউ বলেনি। ফলে নির্বাচনটা স্বস্তিদায়ক ছিল। সেদিক থেকে সার্বিক সফলতা এবং গণমাধ্যমের সম্প্রচারের মাধ্যমে সে সচেতনতা গড়েছেন, সেটি করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক দক্ষ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি ভোট পড়ছে খুলনা বিভাগে, কম সিলেটে। এছাড়াও ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ২৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম ২৭ শতাংশ, রাজশাহী ২৬ শতাংশ, খুলনা ৩১ শতাংশ, রংপুর ২৬ শতাংশ, সিলেট ২২ শতাংশ ও বরিশালে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।
তবে এর আগে বেলা ১২টার পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে সারাদেশে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।