ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মুহুর্মুহু রকেট হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শনিবার দক্ষিণ লেবাননের একাধিক শহরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের আইতা আল-শাব, ইয়ারন এবং রামিয়া এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব এলাকায় হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ স্থাপনা ও সামরিক ভবনকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। লেবাননে হামলার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশ করেছে আইডিএফ। এতে দেখা যায়, লেবাননের দক্ষিণের একাধিক এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়া হচ্ছে। হামলায় লেবাননে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় লেবাননে কোনও হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
এর আগে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরি নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সালেহ ছাড়াও হামাসের আরও দুই কমান্ডারসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। অরৌরি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে শনিবার ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়ানোর বদলে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত হামলা চালিয়ে আসছে তারা। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের এ হামলা-পাল্টা হামলা সীমান্ত এলাকাগুলোতে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
প্রায় তিন মাস ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজা উপত্যকার শতভাগ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। হামাস-ইসরায়েলের এই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৭২২ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ইসরায়েলির হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫৮ হাজার ১৬৬ ফিলিস্তিনি। আর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে হামাসের চালানো হামলায় এক হাজার ১৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।