যশোর শিশু (বালক) উন্নয়ন কেন্দ্রের রকি সরেণ (১৭) নামে এক বন্দি কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে মারা যায়। খুনের মামলায় চার বছর আগে রাজশাহীর আদালতের মাধ্যমে সে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে। রকি সরেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার সুলতান সরেণের ছেলে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের স্বজনদের কাছে সন্ধ্যায় তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে রকি পেটের অসুখে ভুগছিল। শনিবার তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় শনিবার মধ্যরাতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। বিকালে তার লাশ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নেওয়া হয়। লাশের ময়না তদন্ত ছাড়ায় পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসুস্থতা জনিত কারণে রকির মৃত্যু হয়েছে। আমরা লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার পরিবারের স্বজনেরা রাজি হয়নি। যে কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিতসকেরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে পাঠানো হয়।