গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের কোনও অধিকার ইসরায়েলের নেই বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোন্না এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার ইসরায়েলের নেই। গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতিতে ফিরে যেতে হবে এবং এই নীতিকে সম্মান জানাতে হবে।’
ফরাসি মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি মন্ত্রীদের এই ধরনের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন।’ এদিকে লেবাননসহ অন্যান্য অঞ্চলে যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে একই ধরনের বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজা দখলের বিরোধীতা করে দেশটি বলেছে গাজা ফিলিস্তিনের ভূমি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের কোনও গণ বাস্তুচ্যুত হওয়া উচিত নয়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা পরিণত হয়েছে বিধ্বস্ত নগরীতে। তিন মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা বললেও ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সেখানকার নারী ও শিশুরা। এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ২২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দশ হাজারই শিশু।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে যে, গাজার শিশুরা দুঃস্বপ্নের মধ্যে পড়েছে। সেখানকার প্রায় ১১ লাখের বেশি শিশু সংঘাত, অপুষ্টি এবং রোগের তীব্রতার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘গাজার শিশুরা এমন একটি দুঃস্বপ্নের মধ্যে পড়েছে যা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গাজার শিশু এবং পরিবারগুলো যুদ্ধে নিহত ও আহত হচ্ছে। তাদের জীবন ক্রমবর্ধমান রোগ এবং খাদ্য ও পানির অভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। শিশু এবং বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে এবং তাদেরকে মৌলিক সেবার আওতায় আনতে হবে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়ার ঘটনা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে দুই বছরের কম বয়সি ৯০ শতাংশ শিশু গুরুতর খাদ্যাভাবের শিকার।