রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের আগে বিএনপি কয়েকজন নেতা ভিডিও কনফারেন্স করে ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন হারুন অর রশীদ।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। এছাড়া দগ্ধ হয়েছেন আরও আটজন। অগ্নিকাণ্ডের পর অভিযান চালিয়ে বিএনপি ছয় নেতাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকার বিএনপি নেতা গাজী মুনসুরও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সেখানে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ছিল।
হারুন অর রশীদ জানান, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা যাদেরকে গ্রেফতার করেছি তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলামোটর, মতিঝিল এবং বিভিন্ন এলাকায় বাসে আগুন দিয়েছিল। এমন তিনজনকে লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যমতে, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে জানা যায়। সেখানে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম ছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বিএনপি নেতা গাজী মনসুর। তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়। সেই ভিডিও গাজীর মোবাইলে রয়েছে। আগুন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই তিনজন ছাড়াও যারা বিভিন্ন সময়ে কারাগারে ছিলেন এমন কয়েকজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়। এর বাইরেও আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে।’
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আমরা অনেকের নাম পেয়েছি। তদন্ত চলছে। শিগগির তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।