ভারতের একাধিক গণমাধ্যম এই বিষয়ে আশা প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয় কোনো সূচিই। এমনকি আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। মূলত কেরালা সরকারের আমন্ত্রণে জুলাইয়ে রাজ্যটিতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে আর্জেন্টিনা। আলোচনা এগিয়ে নিতে দুই পক্ষের মধ্যে সাক্ষাতের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনাকে ভারতের আনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে কেরালার ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ‘ফুটবল ভক্তদের জন্য এটা অনেক বড় একটি বিষয় হতে চলেছে। আমরা সত্যিই এটি আয়োজন করতে চাই।’
আব্দুররাহিমানের বক্তব্য, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এরইমাঝে জানিয়েছে তারা কেরালায় এসে খেলতে প্রস্তুত। এটা এমন কিছু যা কেরালার এবং পুরো ভারতের ফুটবল সমর্থকরা প্রত্যাশা করে।’ তবে, এর জন্য তাদের ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলারের খরচ হতে পারে।
অবশ্য ভারত বা বাংলাদেশে আর্জেন্টিনাকে আনার প্রক্রিয়া এবারই প্রথম না। আর্জেন্টিনাকে এর আগেও বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে কথা হয়েছিল। জুন-জুলাই উইন্ডোতে তাদের আনার ব্যাপারে কথা এগিয়েছিলো বাফুফে। তবে ভেন্যু জটিলতায় শেষপর্যন্ত তাদের আনা হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের অগ্রগতি না থাকায় লিওনেল মেসিদের আনার ব্যাপারটি সেখানেই থেমে যায়।
এর আগে, ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারায় লিওনেল মেসিরা। এরপরেই বাংলাদেশের মাটিতেও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল তারা। আনহেল ডি মারিয়ার জোড়া গোলে তারা জয় পেয়েছিল ৩-১ ব্যবধানে।