আকাশপথে ভ্রমণের জন্য কোনো বিমানে উঠলে অভ্যর্থনা জানান ‘বিমানবালা’। বিশেষ ড্রেস পরিহিত বিমানবালারা যাত্রার শুরুতে জানিয়ে দেন নানা নির্দেশনা। পুরো পথে যাত্রীদের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত ছুটে আসেন তারা; সেবা দেন সাধ্যমতো।
ঠিক এমন সেবা এখন মিলতে শুরু করেছে ট্রেনে। একের পর এক ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে ‘ট্রেনবালা’ সার্ভিস। রেলওয়ের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘ট্রেন স্টুয়ার্ড’
শুরুটা হয় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে। এরপর আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী দ্রুতগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনেও এই সেবা যুক্ত হয়েছে। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ট্রেনে ছিলেন নারী ট্রেন স্টুয়ার্ড। দৃষ্টিনন্দন ড্রেস পরিহিত এ নারীরা ট্রেনে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছেন আন্তরিকতার সঙ্গে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং-অনবোর্ড সার্ভিস প্রোভাইডার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে নারী স্টুয়ার্ডদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন তাদেরকে আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে এখন বিমানের মতো ট্রেনেও নারী সেবা প্রদানকারী যুক্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ে ক্যাটারিং-অনবোর্ড সার্ভিস প্রোভাইডার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর তাদের আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করি। এখন তাদের ট্রেনে যুক্ত করা হচ্ছে। নারী হিসেবে যাতে তারা কোনো সংকোচ না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা দেখছি।