৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সরকারের ক্ষমতা নবায়নের নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে কোনোভাবেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না। বরং এটি হচ্ছে এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের নির্বাচনী নাটক ও গণতন্ত্রের ফানুস।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের এ যাত্রার সহযোগী হচ্ছে রাষ্ট্রের সব শক্তি, তাই একই সুরে কথা বলছে। নির্বাচনী কাজে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা প্রায়ই দলীয় লোক। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। এজন্য রিটার্নিং, প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের সম্মানী দ্বিগুণ করেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু ৭ জানুয়ারি সিলেক্টেড ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হবে তাই নির্বাচনের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় করার কোন মানে হয় না। এ নির্বাচনী নাটকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারের একগুয়েমির কারণে দেশ ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। কাজেই জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার গায়ের জোরে নির্বাচন করে দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, জাতিসত্তাবিরোধী যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব হারম্নন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা খলিলুর রহমান, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।