সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম তাজফুলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের ১১ জন সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর ১১ সদস্যের একটি অনাস্থা প্রস্তাব আজকে আমার হাতে দিয়েছেন পরিষদের সদস্যরা। আমি যেহেতু মাধ্যম তাই খুব দ্রুত অনাস্থা প্রস্তাবটি ও প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের ২ নং (সদর) সদস্য একরামুলক হক বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং পরে পদটি শূন্য হয়। এ পদে শরিফুল ইসলাম তাজফুল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবার পর থেকেই অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কোনো প্রকার সভা না করে নিজেই সব কিছুর সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কণ্ঠভোটে নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে পরিষদের ৩ নং সদস্য আমিনুল ইসলাম খানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজফুল বলেন, অনাস্থার বিষয়টি আমি এখনো জানি না, তবে সকালে সদস্যরা মিটিং করলেও আমাকে ডাকেনি। এছাড়াও অফিসিয়ালি এখনো আমাকে কেউ জানায়নি। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসলে তবেই এ বিষয়ে বলতে পারব।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গত ২৮ নভেম্বর জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচন করছেন।